বাংলাদেশকে ২৭ কোটি মার্কিন ডলার (প্রায় ৩ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা) ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। দেশের দুর্যোগ প্রস্তুতি ও পুনর্বাসন খাতে সহায়তা দিতে ‘বাংলাদেশ সাসটেইনেবল ইমার্জেন্সি রিকভারি প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড রেসপন্স প্রকল্প’ (বি-স্ট্রং) বাস্তবায়নের জন্য এই ঋণ দেওয়া হচ্ছে।
রবিবার (২৫ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে এ ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে সংস্থাটির ঢাকা অফিসের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন এতে স্বাক্ষর করেন।
ইআরডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রকল্পটিতে পাঁচটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানগুলো বাস্তবায়নে অংশ নেবে। এগুলো হলো—পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
২০২৫ সালের জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। মূলত ২০২৪ সালের আগস্টে দেশে সংঘটিত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট, বাঁধ, কৃষি অবকাঠামো, ও মানুষের জীবন-জীবিকা পুনরুদ্ধারই এই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) থেকে নেওয়া এই ঋণের অর্থ ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এ ঋণের ওপর বার্ষিক ০.৭৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ ও ১.২৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। অনুত্তোলিত অর্থের ওপর সর্বোচ্চ ০.৫০ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট ফি নির্ধারিত থাকলেও, বিশ্বব্যাংক বর্তমানে তা অব্যাহতি দিচ্ছে।
স্বাধীনতার পর থেকে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৪৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা দুই পক্ষের দীর্ঘস্থায়ী সহযোগিতার প্রতিফলন। বর্তমানে সংস্থাটি দেশের ৪৭টি চলমান প্রকল্পে ১৩.১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থায়ন করছে।